সাইটটি নির্মাণাধীন রয়েছে, ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কবি-রসরাজ শ্রীমৎ তারকচন্দ্র সরকারের জন্মতিথি
🚩আজ🚩
২০শে রামচাঁদ মাস, সত্যবার, ২১৩ হরিঅব্দ;
১৪ই অগ্রহায়ণ মাস, শনিবার, অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (প্রচলিত);
১৫ই অগ্রহায়ণ মাস, শনিবার, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (বাংলাদেশ);
30th November, Saturday, 2024 A.D.
মতুয়া সাহিত্যের জনক, মতুয়া সাহিত্যের প্রথম গ্রন্থ শ্রীশ্রীমহাসংকীর্তন এবং মতুয়াধর্মের প্রধান ও আকরগ্রন্থ লেখক কবি-রসরাজ শ্রীমৎ তারকচন্দ্র সরকার ১২৫২ বঙ্গাব্দের ১৫ই অগ্রহায়ণ (২৯শে নভেম্বর, ১৮৪৫ খ্রিষ্টাব্দ) শনিবার, অমাবস্যা তিথিতে জন্মগ্রহণ করেন।
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩মতুয়া জগতে গুরুচাঁদ-সৈনিকদের অন্যতম মতুয়া সুরেশ বিশ্বাস (পাগল) আজ ২১শে দশরথমাস, ২১৩ হরিঅব্দ, কান্তবার (৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ, মঙ্গলবার) সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় নশ্বর দেহ ত্যগ করে শ্রীহরিচাঁদ আশ্রিত হয়েছেন। মহান এই হরিভক্তের মৃত্যুতে সমগ্র মতুয়া সমাজের ন্যায় শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে।
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
নাম: সুরেশ পাগল
পিতা: জগদীশ চন্দ্র বিশ্বাস
মাতা: ফুলি রানী বিশ্বাস
জন্ম: যশোবার, ৫ই গোলকমাস, ১৫৭ হরিঅব্দ,
(১৫ই এপ্রিল, ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দ, সোমবার)
মৃত্যু: কান্তবার, ২১শে দশরথমাস, ২১৩ হরিঅব্দ,
(৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ, মঙ্গলবার)
তিরোধান
🚩আজ🚩
১৮ই দশরথমাস, সত্যবার, ২১৩ হরিঅব্দ;
১২ই পৌষ, শনিবার, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (প্রচলিত);
১৩ই পৌষ, শনিবার, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (বাংলাদেশ);
28th December, Saturday, 2024 A.D.
মুক্তিবারিধি শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরের পৌত্র ব্যারিস্টার শ্রী প্রমথরঞ্জন (পিআর) ঠাকুর ১২ই পৌষ, ১৩৯৭ বঙ্গাব্দ (২৮শে ডিসেম্বর, ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ), শুক্রবারে প্রয়াত হন।
🚩🚩🚩🚩🚩🚩
ব্যারিস্টার প্রমথরঞ্জণ ঠাকুর (১৯০২ ১৯৯০) পি আর ঠাকুর নামে সকলের কাছে পরিচিত। তিনি ১৯০২ খ্রিস্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের সাবেক ফরিদপুর জেলা বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি গ্রামে বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে ঠাকুর পরিবারকে অবলম্বন করে দক্ষিণ বাংলার নিম্নবর্গের মানুষের জাগরণ শুরু হয়। ঠাকুর পরিবারের প্রবাদ প্রতীম দু'টি নাম শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর (১৮১২ ১৮৭৮) এবং শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর (১৮৪৬-১৯৩৭)। ব্যারিস্টার পি আর ঠাকুর ছিলেন গুরুচাঁদের পৌত্র।
পি আর ঠাকুরের পিতার নাম শশীভূষণ ঠাকুর এবং মাতার নাম অনঙ্গমোহিনী ঠাকুর। ঠাকুরের মাতা ছিলেন বরিশালের বিখ্যাত চাঁদসী পরিবারের। কন্যা। সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে চাঁদসী চিকিৎসার প্রবর্তন করেন বিষ্ণুহরি কবিরাজ। ডা. প্রসন্নকুমার দাসের
পি আর ঠাকুর ১৯২০ সালে ওড়াকান্দি মিড হাই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাশ করেন। কলকাতা সেন্ট পলস্ কলেজে পড়ার সময় তিনি মাতামহ ডা. প্রসন্নকুমার দাসের বাড়িতে থাকতেন। সেন্ট পলস্ কলেজ থেকে তিনি ১৯২২ সালে আই এ এবং ১৯২৪ সালে বি এ পাশ করেন। ১৯২৬ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে পি আর ঠাকুর ব্যারিস্টারি ডিগ্রি আর্জনের জন্য লণ্ডনে যান এবং পড়াশুনা শেষ করে ১৯৩০ সালে কলকাতা হাই কোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন।
১৯৩৫ সালে ভারত শাসন আইনে নিম্নবর্গকে তফসিলি হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং অবিভক্ত বাংলায় ২৫০ আসনের মধ্যে তফসিলিদের জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষণ করা হয়। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে ফরিদপুর দক্ষিণ (সংরক্ষিত) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপে ব্যারিস্টার পি আর ঠাকুর নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হবার কিছু দিন পর শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের মহাপ্রয়াণ ঘটে। গুরুচাঁদের জীবদ্দশায় তাঁর সকল পুত্র প্রয়াত হয়েছিলেন। সঙ্গত কারণে গুরুচাঁদের জেষ্ঠ্য পৌত্র হিসাবে ব্যারিস্টার পি আর ঠাকুর মতুয়াদের আধ্যাত্মিক গুরুর পদ লাভ করেন।
মুক্তিবারিধি শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরের পৌত্র ব্যারিস্টার শ্রী প্রমথরঞ্জন (পিআর) ঠাকুর ১২ই পৌষ, ১৩৯৭ বঙ্গাব্দ (২৮শে ডিসেম্বর, ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ), শুক্রবারে প্রয়াত হন।
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
আজ
৩রা মহানন্দমাস, শান্তিবার, ২১৩ হরিঅব্দ;
৩০শে মাঘ, বৃহস্পতিবার, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ;
৩০শে মাঘ, বৃহস্পতিবার, ১৪৩১ (বাংলাদেশ);
13th February, Thursday, 2025 A.D.
মতুয়াধর্মদর্শনের প্রবর্তক শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনীগ্রন্থ 'শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত'-এর রচিয়তা, মতুয়া সাহিত্যের জনক কবি-রসরাজ শ্রীমৎ তারকচন্দ্র সরকার ১৩২১ বঙ্গাব্দের ১লা ফাল্গুন মোতাবেক ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন।
বি.দ্র.: শ্রীমৎ হরিবর সরকার ১৩২৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত'-এর প্রথম প্রকাশিত সংস্করণে কবি-রসরাজ শ্রীমৎ তারকচন্দ্র সরকারের প্রয়াণদিবস ১লা অগ্রহায়ণ, ১৩২১ বঙ্গাব্দ মর্মে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু শ্রীপাট জয়পুরে বহুপূর্ব হতে অদ্যাবধি শিবচতুর্দশী তিথিতে তারকচন্দ্র সরকারের প্রয়াণকে উপলক্ষ্য করে মতুয়া মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ১৩২১ বঙ্গাব্দের ১লা ফাল্গুনও শিবচতুর্দশী ছিল। সে হিসেবে প্রচলিত দিনটিকেই আমি শ্রীমৎ তারকচন্দ্র সরকারের প্রয়াণদিবস মর্মে প্রাধান্য দিয়েছি।
স্বামী মহানন্দ পাগলের জন্মদিবস